শ্রীমঙ্গলে দেশব্যাপী সনাতনীদের দূর্গা মন্ডপ ও বাড়ীঘরে হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সৌরভ আদিত্য মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: 

দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দুদের মন্দিরে, দুর্গাপূজা মন্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর,বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানি,হত্যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে আজ রবিবার তরুন সনাতনী সংঘ(টি.এস.এস) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদসহ  বিভিন্ন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 

রবিবার শ্রীমঙ্গল চৌমুহনায় সকাল এগারটার দিকে সকল সংগঠন এর নেতা-কর্মী,এতদ্ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকের অংশ গ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে এখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

বক্তারা অবিলম্বে সকল দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের ফাসির দাবী করেছে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের নেতা বর্মী ও সকল শ্রেণী পেশার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অবস্থান ধর্মঘট.প্রতিবাদ সভা,বিক্ষোভ মিছিল,ও সভা করেছে। 

এ সময় বক্তারা বলেন অষ্টমী পুজার সময় যে ঘটনা ঘটলো তার ফল শ্রুতিতে সারা বাংলাদেশে অত্যাচার নির্যাতন হলো আমাদের ভাইয়েরা মারা গেলো এর এক সময় দেখবেন সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যাবে ,বিচার হবে না।কারন বাংলাদেশের হিন্দুরা তেমন প্রতিবাদ করেন না।আপনারা প্রতিজ্ঞা করেন ,আজ থেকে যে কোনো অন্যায় অত্যার হলে আপনার রাস্তায় নামবেন ।কোনো শক্তির মাথা নত করবো না।  প্রত্যেক হিন্দু এই রাষ্ট্রের নাগরিক।এই রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে হবে। বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিলে রাষ্ট্রের জন্য কলংক হবে।আর শিয়াল শকুনেরা ভর করবে। ২৭ পার্সেট হিন্দু থেকে আজ ৭ পার্সেটে নেমে এসেছে।এরা একটা প্ল্যান করছে মাঝে মধ্যে একটা করে ঝাকুনি দেবে ,কিছু হিন্দু এদেশ থেকে চলে যাবে ,তার সম্পতি ব্যবসা বাণিজ্য এরা দখল করে নিবে।

বক্তারা আরে বলেন দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দুদের মন্দিরে, দুর্গাপূজা মন্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর,বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানি,হত্যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে এ' বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন  মন্দির ভাংচুর, হত্যাসহ নৃশংস নারকীয় ঘটনার বিচারের মাধ্যমেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য বিশেষ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন,সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্হা,সহিংসতায় আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান,এবং ক্ষতিগ্রস্ত গৃহ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  ও মন্দির গুলোর পুননির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং এ'ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের দাবি জানান