রাই-কিশোরীঃ ৭১ এর ধর্ষণের অন্যতম একটি
কারণ ছিল নারীদের “অসম্মান” করার মাধ্যমে হিন্দু সমাজের মনস্তাত্বিকভাবে
পতন ঘটানো। কিন্তু বর্তমানে কেন চলছে এত বর্বরতা? বর্তমান ডিজিটাল,
অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে কেন এত হিন্দু মেয়েদের প্রতি অসহনীয়
অত্যাচার? তার আরেকটা প্রমান পেলাম ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুর গ্রামে।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় স্কুল এন্ড কলেজের
স্কুল শাখার সনাতন ধর্মের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করার
অভিযোগ উঠেছে আব্দুস সাত্তার (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে কলসিন্দুর উত্তর বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, মেয়েটির বাড়ি সাত্তারের বাসার
পাশাপাশি হওয়ার সুবাধে প্রত্যেকদিন মেয়ে তার বাড়ির সামনে দিয়ে স্কুলে যেত।
সোমবার সকালে মেয়েটি বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে সাত্তার তার পথরোধ করে
তার বাড়িতে যেতে বলে। সে যেতে না চাওয়ায় তাকে জোরপূর্বক তার বাড়িতে নিয়ে
যায়। এ সময় সাত্তারের বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাধে মেয়েটির মুখ বেধে
জো্রপুর্বক তাকে ধর্ষণ করে ।সেই সাথে হুমকি দেয় কাউকে জানালে হত্যা করে
ফেলবে। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে মা-বাবার কাছে সব কিছু খুলে বলে। কিন্তু,
সাত্তার হত্যার হুমকি দেয়া ও সনাতন ধর্মালম্ভী হওয়ার কারনে ভয়ে মামলা করতে
পারেনি তারা।
মেয়েটির বাড়ির লোকের বক্তব্য সাত্তার মাদক
ব্যবসায়ী হওয়ায় খারাপ লোকেদের সাথে তার যোগাযোগ আছে তাই তার হুমকির
বাস্তবিক রূপ দিতে কষ্ট হবে না। কিন্তু আমার মেয়েটা কি দোষ করেছে, ও তো
ধর্ষিতা নাম পেল, সবাই ওকে রাস্তায় দেখলে ফিসফিস করে বলবে দেখ কিছুদিন আগে
ধর্ষণ করেছিল ওকে। এই লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পারলে হয়তো এমনিতেই ওকে
আত্মহত্যা করতে হবে।
তারা আরো বলে হিন্দু হওয়াই কি আমাদের
একমাত্র দোষ। এর বিচার কে করবে, কোথায় গেলে ন্যায় বিচার পাবো? আদৌ ন্যায়
বিচার পাবো নাকি গরিব হওয়ায় এই অসহ্য লাঞ্ছনা সহ্য করতে হবে। আর না পারলে
বাধ্য হয়ে মেয়ের সাথে পুরো পরিবার আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে হবে।
news...thenewse.com
0 Comments