রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী

Image result for রামকৃষ্ণ পরমহংসের \


অমৃত বাণী 1
“ভগবান সর্বত্র আছেন এবং প্র ত্যেক কণায় আছেন | কিন্তু তিনি একটি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে অধিক থাকেন | তাই এইজন্যই ভগবানরুপী মানুষের সেবা করাই ভগবানের আসল সেবা” 

অমৃত বাণী 2 “সত্যি কথা বলার সময় খুবই নম্র এবং একাগ্র হওয়া উচিত কারণ সত্যের মাধ্যমে ভগবানকে অনুভব করা যেতে পারে”

অমৃত বাণী 3
“ভগবানের অনেক নাম আছে এবং তাঁকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত করা যেতে পারে | তুমি তাঁকে কি নাম ডাকো এবং কিভাবে তাঁর পুজো করো এটা কোনো বড় বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে তুমি তাঁকে নিজের ভিতর কতটা অনুভব করো”

অমৃত বাণী 4 “পবিত্র গ্রন্থের মধ্যে অনেক ভালো কথাই পড়া যেতে পারে কিন্তু এইরকম হয়ত কোনো গ্রন্থই নেই যেটা পড়ে ধর্মকে গড়ে তোলা সম্ভব” –

অমৃত বাণী 5 “সংসারে চারিদিকে যাত্রা করে ফেলুন কিন্তু তাতেও আপনি কোথাও কোনো কিছুই পাবেননা | যেটা আপনি প্রাপ্ত করতে চান, সেটা তো আপনার মধ্যেই সর্বদা বিরাজমান”

অমৃত বাণী 6 “দুনিয়া বাস্তবে সত্য ও বিশ্বাসের একটি মিশ্রণ, বিশ্বাস তৈরী করে এমন জিনিসকে ত্যাগ করুন এবং সত্যকে গ্রহণ করুন” –

অমৃত বাণী 7 “তুমি রাত্রে আকাশে অনেক তারা দেখতে পাও কিন্তু যখন সূর্য ওঠে তখন সেই তারাদের আর দেখা যায়না | ঠিক এইভাবেই, অজ্ঞানতার কারণে যদি তুমি ভগবানকে প্রাপ্ত করতে না পারো, তাহলে এর মানে এটা মোটেই নয় যে ভগবান নেই” –

অমৃত বাণী 8
“শুদ্ধ জ্ঞান এবং শুদ্ধ প্রেম একই জিনিস | জ্ঞান আর প্রেমের মাধ্যমেই লক্ষ্যকে পূরণ করা যেতে পারে, আর এখানে প্রেম নামক রাস্তাটি বেশি সহজ” –

অমৃত বাণী 10 “ওইসব মানুষের ব্যর্থই জন্ম হয়, যারা খুবই কঠিনতার পর পাওয়া মনুষ্য জীবনকে এইভাবেই নষ্ট করে দেয় এবং নিজের পুরো জীবনে ভগবানের উপস্থিতি অনুভবেরই চেষ্টা করেনা” –

অমৃত বাণী 11 “সাংসারিক বিষয়ের উপর জ্ঞান, মানুষকে জেদী বানিয়ে তোলে | জ্ঞানের অভিমান হলো একটি বন্ধন” –

অমৃত বাণী 12 “যেইভাবে ধুলোপুর্ণ আয়নার উপর সূর্যের আলোর প্রতিবিম্ব পরেনা, ঠিক সেইভাবেই মলিন মনে ঈশ্রের প্রকাশের প্রতিবিম্বও পরা সম্ভব নয়” –

অমৃত বাণী13 “যখন হাওয়া চলতে থাকবে তখন পাখা চালানো বন্ধ করে দেওয়া উচিত কিন্তু যখন ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি বজায় থাকবে তখন প্রার্থনা আর তপস্যা কখনই বন্ধ করা উচিত নয়” –

অমৃত বাণী 14“যদি তুমি ভগবানের দেওয়া শক্তির সদ ব্যবহার না করো তাহলে তিনি কখনই অধিক দেবেন না | তাই প্রচেষ্টা করা অবশ্যই প্রয়োজন তার কৃপার যোগ্য হওয়ার জন্য” –

অমৃত বাণী15
“জল এবং সেটার মধ্যে উৎপন্ন বুদবুদ এক জিনিস | একই প্রকার জীবাত্মা ও পরমাত্মা এক জিনিস | শুধু তাদের মধ্যে কেবল এটাই পার্থক্য যে, একজন পরিমিত আর অপর অনন্ত, একজন সতন্ত্র নয় আর অপর স্বাধীন ও সতন্ত্র দুটিই”

অমৃত বাণী16
“যতক্ষণ ইচ্ছা তোমার মধ্যে লেশমাত্রও বিদ্যমান আছে ততক্ষণ তুমি ঈশ্বরকে পাবেনা, অতয়েব নিজের ছোট বড় সব ইচ্ছাকে ত্যাগ করে দেও” – #16

অমৃত বাণী17“একমাত্র ভগবানই বিশ্বের পথপ্রদর্শক এবং গুরু” –

অমৃত বাণী 18 
যেই ব্যক্তি আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছেন, তার উপর কাম এবং লোভের বিষ কখনই চড়েনা” –

অমৃত বাণী 19
“বন্ধন ও মুক্তি কেবল একলা মনের চিন্তামাত্র” – #19

অমৃত বাণী20“বিনা কোনো স্বার্থ ছাড়া কাজ যেই মানুষ করেন, সে বাস্তবে নিজের ভালোই করে চলেছে” –

অমৃত বাণী21 “নিজের বিচারগুলির উপর সৎ থাকো ও বুদ্ধিমান হও, নিজের বিচারবুদ্ধি অনুযায়ী কাজ করো, তাহলেই তুমি নিশ্চিত সফল হবে | একটি সৎ ও সরল মনের মাধ্যমে প্রার্থনা করো, তোমার প্রার্থনা নিশ্চই শোনা হবে” –

অমৃত বাণী 22
“যদি তুমি সত্যিকারেই পাগল হতে চাও, তাহলে সাংসারিক বস্তুর জন্য পাগল হয়না, বরং ভগবানের ভালোবাসায় পাগল হও” – #22

অমৃত বাণী23
“যদি তুমি পূর্ব দিকে যেতে চাও, তাহলে কখনই পশ্চিম দিকে যেওনা” –

অমৃত বাণী 25
“ভালোবাসার মাধ্যমে ত্যাগ এবং বিবেক স্বাভাবিক ভাবেই প্রাপ্ত হয়েই যায়” –

অমৃত বাণী 26
“ধর্ম সম্পর্কে কথা বলা খুব সহজ, কিন্তু সেটা অনুশীলনে আনা ততটাই কঠিন” –

অমৃত বাণী 27
“ভগবানের ভক্তি বা প্রেম ছাড়া, কোনো কাজকে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়” –

অমৃত বাণী 28“বিনা সত্য কথা বলে কখনই ভগবানকে পাওয়া যাবেনা, কারণ ভগবান সত্য” –

অমৃত বাণী 29
“ঈশ্বরের প্রতি বিশুদ্ধ ভালোবাসাই হলো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস | আর অন্য সবকিছুই মিথ্যা এবং কাল্পনিক” –

অমৃত বাণী30 “যত মত তত পথ” –

অমৃত বাণী 31“যতদিন জীবন আছে আর তুমি জীবিত আছো, শিখে যাও” –


অমৃত বাণী 32
“যেই ব্যক্তির মধ্যে এই তিনটি জিনিস আছে, সে কখনই ঈশ্বর প্রাপ্তি করতে পারবেনা অথবা ঈশ্বরের দর্শন সে পাবেনা | এই তিনটি জিনিস হলো- লজ্জা, ঘৃনা এবং ভয়” –


অমৃত বাণী 33
“ঈশ্বর সব মানুষের মধ্যেই আছে, কিন্তু সব মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের প্রভাব থাকবে, সেটার প্রয়োজনীয়তা নেই | এইজন্যই আমরা মানুষ নিজের দুঃখে পীড়িত আছি” –


অমৃত বাণী 34 “যদি আপনি কর্ম করেন, তাহলে নিজের কর্মের প্রতি ভক্তির ভাব থাকা অতি আবশ্যক | তখন সেই কর্ম একমাত্র সার্থক হতে পারে” –

অমৃত বাণী 35 “যখন ফুল ফোটে তখন মৌমাছিরা আপনা থেকেই চলে আসে | ঠিক তেমনই, যখনই আমরা প্রসিদ্ধ হয়ে যাই তখন সমস্ত মানুষ নিজে থেকেই আমাদের গুনগান করতে শুরু করে দেয়” –

অমৃত বাণী 36 “একজন সাংসারিক মানুষ, যিনি কিনা সৎ ভাবে ঈশ্বরের প্রতি সমর্পিত নন, তার জীবনে কোনো আশা রাখাই উচিত নয়” –

অমৃত বাণী 37 “যদি আমাদের ঈশ্বরের দেওয়া শক্তিকে সৎ এবং ভালো কাজে ব্যবহার করতে হয়, তাহলে ঈশ্বরের কৃপা পাওয়ার জন্য নিজেদের জীবনকে সমাজের ভালো কাজের জন্য ব্যয় করা উচিত” –

অমৃত বাণী 38
“নৌকাকে সর্বদা জলের উপরেই থাকা উচিত কিন্তু জলকে নৌকার উপর থাকা উচিত নয় | ঠিক এইভাবেই, যার ভক্তি আছে তার এই দুনিয়াতেই থাকা উচিত কিন্তু যে ভক্তি করে তার মনের মধ্যে কখনো সাংসারিক মোহ-মায়া থাকা উচিত নয়” –

অমৃত বাণী 39
“টাকা মাটি, মাটি টাকা” –


অমৃত বাণী 40 “সফলতা অন্যের দ্বারা ঠিক করে দেওয়া উপায় মাত্র কিন্তু সন্তুষ্টি সম্পূর্ণ নিজের দ্বারা ঠিক করে দেওয়া উপায় মাত্র” –


অমৃত বাণী 41 “জীবনের বিশ্লেষণ করা ছেড়ে দেও, এটা জীবনকে আরো জটিল করে দেবে” –


অমৃত বাণী 42
“নিজের অতীতের মোকাবিলা, বিনা আফশোষে করো
নিজের বর্তমানকে আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে সামলাও
আর নিজের ভবিষ্যতের প্রস্তুতি, বিনা ভয়ে নেও” –

অমৃত বাণী43
“কার্যকলাপ আপনাকে ব্যস্ত রাখে কিন্তু উৎপাদনশীলতা আপনাকে মুক্ত করে” –

অমৃত বাণী 44 “যদি আপনি বাইরে দেখে চলেন, তাহলে আপনি কিছুই জানবেন না আপনি কোথায় | নিজের ভিতরে দেখুন” –

অমৃত বাণী 45“দুশ্চিন্তা করা আপনার একটি অভ্যাস হয়ে গেছে, এই কারণেই আপনি খুশি নন” –

অমৃত বাণী 46
“জ্ঞানের অর্থ হলো, কাম ও লোভের থেকে মুক্তি” –

অমৃত বাণী 47
“অভিজ্ঞতা একটি কঠিন শিক্ষক, সে প্রথমে পরীক্ষা নেয় এবং পরে পাঠ দেয়” –

Post a Comment

0 Comments