নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরের মানিকখালী সার্বজনীন পূজা মন্দিরে
অনুষ্ঠিতব্য ডিজিটাল দুর্গা উৎসবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও চাঁদা দাবীকারীর
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং হাইকোর্টের রিট মামলার আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার
বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, মানিকখালী
সার্বজনিন পূজা মন্দির সমিতির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র মন্ডল।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মানিকখালী সার্বজনীন পূজা মন্দিরে
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৪
অক্টোবর ২০১৯ তারিখ থেকে এই পুজা শুরু হবে। এ বছর এ মন্দিরে ডিজিটাল
প্রতিমা নির্মানের কাজ চলছে। আমাদের এই শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবে বাধা
প্রদান করার জন্য ৬নং রামজাননগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যান আকবর আলী গত ১৮
সেপ্টম্বর ২০১৯ তারিখে বেলা ১০টা ৫৩ মিনিটে তার ব্যবহৃত ০১৭১১-৪৮২৫০৯
নাম্বারের মোবাইল ফোন থেকে আমার ফোনে বলেন, আপনারা মানিকখালী পূজার মাঠে
উৎসব করে মন্দিরে অনেক টাকা আয় করেন। এই টাকার অর্ধেক ভাগ দিতে হবে। তিরি
আরো বলেন, টাকা না দিতে পারলে পূজার সময় মাঠ উন্মুক্ত রাখতে হবে। আমি তার
কথার প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী রামজাননগর ইউনিয়ন
শাখার সেক্রেটারী গাজী নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলে মাঠে পুজা করার অনুমোতি
নিতে হবে। দেশের সর্বত্র এ ধরনের পূজা উৎসবে কেউ কোন চাঁদা দাবী করেনা। অথচ
ইতোপূর্বে আমরা এই মন্দিরের পূজা উৎসবে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে হাইকোর্টে
২২৭১/১৬ নং রিট মামলঅ দায়ের করিলে হাইকোর্ট সার্বজনীন এই মন্দিরে পূজা
পালনে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সাতক্ষীরার
জেলা প্রশাসক, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহি অফিসার, শ্যামনগরের সহকারি ভূমি
কমিশনার ও রমজাননগর ইউপি চেয়াম্যান নির্দে প্রদান করেন। উক্ত আদেশটি এখনও
বহাল রয়েছে। তারপরও এ ধরনের হুমকি ও চাঁদা দাবী করায় আমরা আগত দুর্গাপূজা
পালনে ব্যাপকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এই নেতা নব্য আওয়ামী
লীগে যোগ দিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারীর সাথে যোগসাজশে পূজা বন্ধের চক্রান্তে
লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি চাঁদা দাবী ও পূজা বন্ধের চক্রান্তকারীর
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা হিন্দু, যুব
মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক মনোদ্বীপ কুমার মন্ডল।
0 Comments