ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী আড়পাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আড়পাড়া গ্রামের একটি কলা বাগানে এবং তার পরিবারের সাথে ওই বাগানের পাশে একটি ভাড়া বাড়ীতে থাকতো রেখা রানী। দুই ছেলে-মেয়ে ও স্বামী গোপাল বিশ্বাসকে নিয়ে ছিল রেখা বিশ্বাসের সুখি দরিদ্র পরিবার কিন্তু, সেই সুখের সংসারে দুস্কৃতীদের কু-নজরের স্বীকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পরিবারটি।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী জুট মিলে ডিউটি করার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে রেখা বিশ্বাসের ক্ষত-বিক্ষত অর্ধনগ্ন দেহ মিললো আজ বুধবার সকালে। এই ঘটনায় ওই মিলের বাকি মহিলা শ্রমিকরা ভয়ে শিউরে উঠছেন। তারা দিন ও রাতে শিফট করে কাজে যায়, এখন তারা বলছেন তাদের সাথে যে এমন ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কি?
রেখা বিশ্বাসের স্বামী গোপাল বিশ্বাস বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। যে দেশে আমার স্ত্রীর সাথে এমন করা হয় সেখানে আমার মেয়েকে নিয়ে তো চরম সংশয়। আমরা কি দোষ করেছিলাম যে এভাবে তার খেসারত দিতে হল। এখন আমার মেয়ের কি হবে..? আমি বা আমার ছেলে সারাদিন বাড়ি থাকবো না এটাই স্বাভাবিক। কোনোদিন ফিরে এসে দেখবো আমার মেয়েও ঘরে এভাবে লাশ হয়ে পড়ে আছে আর সারা ঘরে ভেসে যাওয়া রক্ত তার উপর হওয়া অত্যাচারের জানান দিচ্ছে।
আমরা এইসব পৈশাচিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ সাজ ফাঁসির দাবী জানাচ্ছি।
0 Comments