ধর্ম বড় নাকি বিজ্ঞান বড়? পর্ব-১ (অশোক চক্রবর্ত্তী)


যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন তারা ধর্মকে বিজ্ঞান থেকে বড় করে দেখেন, যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন না তারা ধর্ম থেকে বিজ্ঞানকে বড় করে দেখেন। মাঝে রয়েছে সংশয়বাদীরা।

বিষয়টাকে সনাতন ধর্ম সাপেক্ষেই আলোচনা করছি
সনাতন ধর্ম হাজার হাজার বছর পূর্বে ধর্ম হিসাবে যে সব বিষয়কে নির্ধারণ করেছে সেই বিষয় গুলি গবেষণার ফলাফল হিসাবেই প্রাপ্ত করা গিয়েছিল। অর্থাৎ ধর্ম ও বিজ্ঞান একে অন্যের পরিপূরক। হাঁ; শুধু বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে পুরপুরি ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে না। অর্থনীতি, রাজনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, দর্শন, ঐতিহ্য, প্রকৃতিবাদ, আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়ে ধর্ম। বিজ্ঞান মুলত মেটালিক বা বস্তুবাদ নিয়েই সমৃদ্ধ।

ধর্ম ও বিজ্ঞানের তুলনা করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হবে সবাইকেই। চিরদিনের জন্যে সত্যি কিছু বিষয় থাকে, আবার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হওয়ার কিছু বিষয় থাকে। বিষয় গুলির সিদ্ধান্ত পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিরকারনে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার ও সূত্র পরিবর্তিত হয়। বিজ্ঞান প্রমান দেয়। এক সময়ের পরিস্থিতির অনুপাতে বিজ্ঞান প্রমান দিয়েছে। পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার কারণে বিজ্ঞানের পূর্বের সিদ্ধান্ত ভুল বলে প্রমান করে নতুন সিদ্ধান্ত প্রদান করে। অথবা পূর্বের সিদ্ধান্তে কোন ভুল থাকলে সেটাকে সংশোধন করে নেয়। বিজ্ঞানের এই উন্নত প্রবন্তাকে বেশিরভাগ ধার্মিক দুর্বলতা বলে মনে করে। বিজ্ঞান চূড়ান্ত ধারণা দিতে পারেনা বলে, বিজ্ঞানকে ধর্ম থেকে ছোট বলে মনে করে। কিন্তু সত্য অনুসন্ধানের সূত্রই এটা। পরিবর্তনের মাধ্যমে অধিকতর সত্যকে মেনে নেওয়া, পরিবর্তনশীলতাকে চিহ্নিত করে সেই সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমেই সত্যকে খুঁজে নেওয়া সম্ভব হয়।

Post a Comment

0 Comments