হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট: মামলা করায় পরিবারের নারীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণের হুমকি!

প্রতিকী ছবি

ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে হিন্দুদের ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে মিনি ট্রাকযোগে মালামাল লুট করে নিয়ে যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে হিন্দুদের ঘর বাড়িতে হামলা ও পরিবারের নারীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে রমেশ রবিদাস, সুমন রবিদাস ও কুবলালের ৮ শতাংশ (শতক) জমি দখলে নেওয়ার জন্য স্থানীয় নিজবানাইল গ্রামের হারুন আকন্দ, কাইয়ূম আকন্দ, খোকন আকন্দ, কাজল, রফিক আকন্দ, দুলাল, সবুজ, দেলোয়ার আকন্দ, জমসেদ খাঁ ও ফারুক আকন্দ সহ মুসলিম গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ছলে বলে কৌশলে তারা হিন্দুদের জমি দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছিলো।

গত ২৩ মে বুধবার রাতে ওই প্রভাবশালীচক্র দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন মুসলিম সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে হিন্দুদের ২০টি দোকান ভাঙচুর করে সম্পূর্ণভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। ভাঙচুর করার পাশাপাশি যে যেভাবে পারছিলো কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে ও ক্ষতি সাধন করে। এ সময় একটি কাঠের আসবাবপত্রের দোকানের গ্রাহকদের জন্য প্রস্তুতকৃত আসবাব লুটপাট করে মিনি ট্রাকযোগে তুলে নিয়ে যায় মুসলিম হামলাকারীরা।

হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারারাত অবস্থান করে। উক্ত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কুবলাল রবিদাসের ছেলে সুমন রবিদাস বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ একটি এজাহার দায়ের করেছেন।এদিকে এই ঘৃণ্য ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী হিন্দুরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মুসলিম হামলাকারীরা দোকানপাট ভাঙার পর এবার বাড়ি-ঘরে হামলা এমনকি হিন্দু মহিলা ও যুবতী নারীদেরও উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবারগুলোর সদস্যরা।

Post a Comment

0 Comments