রনি দাশ গুপ্ত, ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছেন এমন জাতি শুধু বাঙ্গালী। জব্বার, রফিক, সালাম, বরকতরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে তারা হয়েছেন মাহিমান্বিত এবং শ্রীল প্রভুপাদ বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষাকে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত। সবাই জেনে হবেন আনন্দিত, আজ বিশ্বের সকল দেশে মন্দির গুলোতে সকাল সন্ধায় বাংলা ভাষায় তুলসী ও গৌর আরতি কীর্ত্তন করে থাকে। যার জন্য অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছেন ইসকন প্রতিষ্ঠা আচার্য শ্রীল প্রভুপাদ । তিনি একজন বাঙালী হয়ে পুরো বিশ্বে এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন প্রচার করছে আর পুরো বিশ্বের মানুষ বাংলা ভাষা শেখার জন্য এখনো চেষ্টা করছে কারণ আধ্যাত্মিক জগতের পি.এইচ.ডি - চৈতণ্য চরিতামৃত তারা বাংলায় পড়তে চায়, চৈতণ্য মহাপ্রভুর ভাষা বাংলা ভাষায় সবাই কথা বলতে চায় ।
তাদের কন্ঠে শুনা যায় বাংলা পদাবলী কীর্ত্তন। প্রভুপাদের কৃপায় হাজার হাজার বিদেশী এখন বাংলা ভাষায় কথা বলছে । তারা বাংলা শিখার জন্য কত আগ্রহী, আমরা যখন কলকাতা মায়াপুরে যাই তখন দেখি অনেক বিদেশী ভক্তরা বাংলা শিখছে চৈতণ্য চরিথামৃত পাঠ করছে । এই বাংলাদেশে অনেক বিদেশী ভক্তরা এসে বাংলায় ক্লাস দিচ্ছে গীতা ভাগবতমের উপরে । ভাবতে অবাক লাগে যারা এই বাংলাকে চিনত না তারা আজকে বাংলা শিখে আমাদের ক্লাস দিচ্ছে । শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন সারা বিশ্বের মানুষ যখন এই কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহন করবেন তখন সবাই এই বাংলা ভাষা শিখবে । আজ বাস্তবে রুপান্তরিত তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় পুরো বিশ্বে বাংলা ভাষা প্রসারের জন্য 'ইসকনের' অবদান অতুলনীয়।
0 Comments