ভাঙা মূর্তি সহ প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন, অযোধ্যার খননে মিলল শিবলিঙ্গ! উল্লসিত ভিএইচপি

   
                                                    পুরো লেখাটি যুগশঙ্খ পত্রিকা থেকে তুলে ধরা হয়েছে

রক্তিম দাশ, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফিরে পাওয়া রামজন্মভূমি নির্মানকাজ শুরু করতে গিয়ে মিলল মন্দিরের ঐতিহাসিক প্রমাণ! মন্দির নির্মানের জন্য ধ্বংসস্তুপ সরানো আর ভূমি সমতল করতে গিয়ে শিবলিঙ্গ, ভাঙা মূর্তি সহ একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আর প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন পাওয়ার খবরে উল্লসিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাঁদের বক্তব্য, এতদিন ধরে তাঁরা ওই স্থলে মন্দির ছিল বলে যে দাবি করছিলেন তার প্রমান মিলছে।


জানা গিয়েছে, লকডাউনের মধ্যেই চলতি মাসের শুরুতে ১১ মে থেকে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণকার্য শুরু করার অনুমতি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপর থেকে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। এই শ্রমিকরা ধ্বংসস্তুপ সরানো আর ভূমি সমতল করতে গিয়ে শিবলিঙ্গ, ভাঙা মূতি সহ একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন পান।

শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের দাবি, খনন কাজ চালানোর সময় একটি ৫ ফুটের শিব লিঙ্গ, ৭টি কালো কষ্টিপাথরের স্তম্ভ, ৬টি লাল বেলেপাথরের স্তম্ভ এবং বিভিন্ন দেবতা ও দেবীর ভাঙ্গা মূর্তি পাওয়া গেছে।

শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই এবিষয়ে জানিয়েছেন, ‘খননের সময় ধ্বংসস্তুপে থেকে বিভিন্ন স্তম্ভ, বেলেপাথরের ওপর বিভিন্ন খোদাই করা কাজ পাওয়া যাচ্ছে। আর ধ্বংসস্তুপে একটি শিবলিঙ্গ ও আরেকটি শিবলিঙ্গ কুবের টিলায় পাওয়া গেছে।’

একই ভাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনসল বলেছেন, ‘১১ মে খনন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ঐতিহাসিক দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে পাথরে খোদিত ফুল, কলস, আমলক, দরজার পাশের অংশ প্রভৃতি প্রতœতাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। এটা ফের প্রমাণ করল ওই জমিতে মন্দিরই ছিল। তা ভেঙে পরবর্তীকালে মসজিদ বানানো হয়।’
বিশিষ্ট ঐতিহাসিক অধ্যাপক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিকবিদ কে. কে. মুহম্মদ-এর নেতৃত্বে একটি দল অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় খনন চালিয়ে মসজিদের তলায় পুরনো স্থাপত্যের হদিস পান।



মুহাম্মদ ২০১৬ তে মালায়লম ভাষায় প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনীতে মার্ক্সবাদী ইতিহাসবিদরা কট্টরপন্থী মুসলিম গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করায় অযোধ্যা বির্তকের গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছন কঠিন হয়ে পড়ে। মুহাম্মদ এই বইয়ে দাবি করেছেন, অযোধ্যায় হওয়া প্রতœতাত্ত্বিক খননকার্যে মসজিদের তলায় মন্দির থাকার পরিষ্কার প্রমাণ পাওয়া গেছে- কিন্তু বামপন্থী ইতিহাসবিদরা একে অস্বীকার করে এলাহাবাদ হাইকোর্টকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করে। ২০০৩-এ ‘ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ’

এলাহাবাদ হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় যে, মসজিদের নীচে খ্রীষ্টীয় দশম শতকের একটি স্থাপত্য রয়েছে। এবং ঐ অঞ্চলটিতে অন্তত ৩৩০০ বছর আগে থেকে মানুষ বসবাস করত। এবং অন্তত ১০০০ বছরের পুরনো স্থাপত্যের ওপর এই মসজিদটি খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতকের প্রথম দিকে তৈরি করা হয়। ২০১০-এ তার রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এএসআই-এর এই সন্ধানকে মান্যতা দিয়ে মেনে নেয় যে, ঐ জায়গাটিতে একটি বৃহদাকার হিন্দু ধর্মীয় স্থাপত্য ছিল।’
অয়নবাবু আরও বলেন,‘মুহম্মদ বলেছিলেন, পোড়ামাটির তৈরি মানুষ ও পশুর বিভিন্ন ভাস্কর্য পাওয়া গেছে যা থেকেও এখানে পূর্বে কোন মন্দিরের অস্তিত্বই প্রমাণিত হয়- কারণ, এগুলি ইসলামে নিষিদ্ধ।

Post a Comment

0 Comments