বগুড়ায় কালী মন্দির ভাঙচুর,৫২টি গাছ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন




গত ১২ ডিসেম্বর বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের রজাকপুর গ্রামে প্রায় শতাধীক বর্ষী কালীস্থানের কালীমন্দির ভাঙচুর, চরকপুজার স্থান ভাঙচুর,সেই সাথে ওই জায়গায় ৫২টি গাছ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে ৷শহরের টেম্পল রোডে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে এই প্রতিবাদি মানববন্ধন পালন করা হয় ৷

এ কর্মসুচিতে জেলা কমিটি ও বিভিন্ন উপজেলা কমিটির সদস্য সহ প্রায় তিন শতাধীক নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন  ৷রজাকপুর কালী মন্দির কমিটির সভাপতি ডাঃ সুশিল কুমার বলেন,প্রায় শতাধীক বছরের বেশী হয়েছে ওই স্থানে কালী পুজা সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের চরকপুজা  অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ৷ওই জায়গাটির সি এস,এম আর আর এ কালীস্থান উল্লেখও আছে এবং পার্শে অনেক সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত জায়গা থাকার পরেও ৷

আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগ সাঝশে এখানে আবাসন প্রকল্প করার নামে এই জায়গায় মন্দির ভাঙচুর সহ গাছ কেটে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে এ সময় ওই মন্দিরের সাধারন সম্পাদক শ্রী সুভাষ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন৷এক পর্যায়ে অনেকে মন্দির ভাঙচুরের কথা বলতে বলতে হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে সেই সময় সবাই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন ৷জেলা পুজা উদযাপনের সভাপতি দিলিপ দেবনাথ উপস্থিত লোকজনদের ধৌর্যধারনের অনুরোধ জানিয়ে বেশ কয়েক দফা দাবি প্রশাসনের নিকট ওই মানববন্ধন থেকে তুলে ধরেন ৷যেমন মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদ করায় বেশ কিছু লোকের বিরোদ্ধে মামলা হয়েছে সেটি অবিলম্ভে প্রত্যাহার ,কালী মন্দির ভাঙচুরকারীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন,ওখানকার গাছ বিক্রির টাকা থেকে মন্দির পুননির্মান দ্রত না করলে সামনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে হুশিয়ারী প্রদান করেন তিনি ৷

 এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির শ্রী তাপস নিয়োগী,শ্রী অসিম দাস,শ্রী প্রভাত কুমার সহ আরো অনেকে ৷নুনগোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন মোঃ আলিমুদ্দিন প্রতিনিধিকে বলেন,আমি ওই জায়গায় কোন মন্দির দেখি নাই ৷বরং ওই জায়গাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য রহিমা খাতুন ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল বারী মন্ডল কিছু লোকের দাবীর প্রেক্ষিতে খেলার মাঠের প্রস্তাব করেছিলেন আমার কাছে ৷এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,হাঁ ওখানে ৪০ বছর আগে থেকে ওই জায়গায় পাঁথরে হিন্দু ধর্মীয় লোকজন পুজা অর্চনা করে আসতে দেখেছি ৷

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ৷এই মানববন্ধনে জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সাগর রায় ও বিভিন্ন উপজেলা সহ অত্র গ্রামের তিন শতাধীক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন ওই মানবন্ধনে৷ এদিকে রজাকপুর কালী মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী সুভাষ দেবনাথ বাদি হয়ে এবং রাষ্ট্রকে বিবাদি করে গত ১৪ ডিসেম্বর ওই জায়গা উদ্ধার সহ কালী মন্দির,চরকতলার স্থান পুননির্মান সহ গাছ কর্তনের অর্থ আদায়ের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ৷

Post a Comment

0 Comments