আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে করোনার টিকা গ্রহণের পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
মীজানুর রহমান বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী যেহেতু টিকা নিয়ে ফেলেছেন। এখন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে টিকা দিলে তার ভারতীয় অ্যালার্জি চলে যাবে। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর ও মাহমুদুর রহমান মান্নাকে টিকা দিলে ভারতীয় অ্যালার্জি কমে যাবে।
তিনি বলেন, অ্যালার্জি দুই রকমের। একটি শারীরিক, আরেকটা ভারতীয়। যাদের ভারতীয় অ্যালার্জি আছে তাদের টিকা না নেওয়াই ভালো। যাদের ভারতীয় অ্যালার্জি তারা পাকিস্তান থেকে টিকা ক্রয় করুক বা অন্য কোথাও থেকে ক্রয় করুক।
জবি উপাচার্য বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল তা কেটে গেছে। এখন দলে দলে মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছে। এ ভ্যাকসিন নিরাপদ। যারা এটি নিয়ে গুজব ছড়াতে চায় তাদের কথায় না কান দিয়ে আমি বলবো সবাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।
ভ্যাকসিন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ভ্যাকসিন নেয়ার সময় টেরও পাইনি। এখন পর্যন্ত আমি ভালো আছি। কোনো ভয় নেই। আমার কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। এই টিকা আমাকে যেমন সুরক্ষিত করবে, তেমনি এই দেশকে করোনা থেকে সুরক্ষিত করবে।
আরোও পড়ুন:বরিশালের গৌরনদীতে প্রেমিকাকে বাঁ’চাতে গিয়ে রফিক সরদার (২৫) নামে এক তরুণের বটির আ’ঘাতে আহত হয়েছেন রাসিক হাওলাদার (১৭) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে ওই কিশোরকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ঢাকা প’ঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, হা’মলায় জড়িত রফিক সরদার আত্মগোপন করায় অ’ভিযান চালিয়ে তার মা ও ভগ্নিপতিকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাসিক হাওলাদার ও তার স্কুলের একই ক্লাসের শিক্ষার্থীর মধ্যে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরপর মাঝে মধ্যেই ওই কিশোরীকে তার আত্মীয়ের বাড়ি নিয়ে যেতেন ওই কিশোর।
যা তার ওই আত্মীয়ের এক প্রতিবেশী ও তার ছেলে ভালোভাবে নিতেন না। সবশেষ বৃহস্পতিবার প্রেমিকাকে নিয়ে রাসিক তার ওই আত্মীয়ের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে।
এদিকে, আত্মীয়ের ওই প্রতিবেশী তার ছেলেকে নিয়ে দরজা খুলতে বলেন। তারা দরজা না খুললে একপর্যায়ে ভে’ঙ্গে ভিতরে ঢুকে ওই কিশোরীকে তাড়া করেন। এসময় ওই প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বাঁ’চাতে গিয়ে বটির কোপে আ’হত হন। বারবার ঠেকাতে গিয়ে অন্তত পাঁচটি কোপ লাগে।
একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে যান ওই প্রেমিক। প্রেমিকার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ওই কিশোরকে উ’দ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অন্যদিকে, পালিয়ে যান ওই প্রতিবেশী তরুণ।
ওই প্রতিবেশী নারীর দাবি, তারা অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে তারা ওই তরুণ তরুণীকে ওই বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা কথা না শোনায় ওই নারীর ছেলে রফিক ক্ষি’প্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যমকে গৌরনদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান।
তিনি জানান, এ ঘটনার পরপরই আ’ত্মগোপন করেছে রফিক। তার সন্ধান ও ঘটনার কারণ জানতে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে ওই প্রতিবেশী নারী রানু বেগম ও রফিকের ভগ্নিপতি শাখাওয়াত হোসেনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি মা’মলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
0 Comments