
নির্বাচন কমিশনের এমন তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি ভোরের কাগজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (গতকাল) নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোট পেছানোর দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ভোট নেয়া উচিত নয়। পরে পূজা উদযাপন পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সংগঠনের সারাদেশের জেলা কমিটির নেতাদের নিয়ে ঢাকেশ^রী মন্দির প্রাঙ্গণে বৈঠক করবে। ওই বৈঠক থেকে ভোট বর্জনের কর্মসূচি দেয়া হতে পারে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর গত রাতে ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি গত দুদিন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ভোট পেছাতে রাজি হয়নি কমিশন। পূজা উদযাপন পরিষদ বলেছিল ৯ অথবা ১০ অক্টোবরে ভোট নিতে- এমন দাবির প্রেক্ষিতে সচিব বলেন, পুরো বিষয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করেই ৫ অক্টোবর ভোটের দিন বহাল রাখা হচ্ছে। পূজার সময় ভোট হলে হিন্দুরা ভোট বর্জন করতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, পূজার পরদিন ভোট হলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ পড়বে পূজার সময়। এ ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ভোট করবেন কি করে? এ ছাড়া পূজা থাকলেও ৫ অক্টোবর সরকারের সব অফিস খোলা। ভোটের জন্য রংপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব অফিস বন্ধ থাকবে। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ একদিন বেশি ছুটি পাবেন। ভোট এবং পূজা-জমিয়ে দুই উৎসব পালন করবেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য হলে সাংবিধানিকভাবেই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। পূজার পরে ভোট করলে সেই ৯০ দিন পার হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পূজার আগে তো ভোট করা যেত- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বহু বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।
ভোট পেছানোর জন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আগামী ৫ অক্টোবর দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী পূজা। এ দিন জাতীয় সংসদের রংপুর-৩ আসনের ভোট। এ সম্প্রদায়ের ভোটারদের পাশাপাশি অনেকেই ভোটকেন্দ্রের বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাই তারা পূজার আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবেন। সার্বিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দুর্গাপূজার পরে উপনির্বাচনের দিন পুনর্নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ৯ অথবা ১০ অক্টোবর হলে পূজা উদযাপন পরিষদের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে।
1 Comments
একতা হতে হবে
ReplyDelete