পিরোজপুরের নাজিরপুরে একই দিনে তিনটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে স্থানীয়রা হাতেনাতে কামরুল ইসলাম সুজন (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
রোববার ভোর পৌনে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দির, কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাজার সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অধির রঞ্জন মল্লিকের বাড়ির শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ও নাজিরপুর থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম মুনির।
গৃহবধূ গৌরী মল্লিক জানান, তিনি ভোরে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের দরজার তালা খুলে রেখে পূজা দেয়ার জন্য ফুল তুলতে য়ান। কিছুক্ষণ পরে এসে দেখেন পাঞ্জাবী পরা, মাথায় টুপি, মুখে দাড়িওয়ালা এক লোক বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। মন্দিরে ঢুকে দেখেন মন্দিরের সকল প্রতিমা ভাংচুর করা। এরপর লোকজন ডাকতে ডাকতে ওই লোককে আর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, 'এর কিছু সময় পরে জানতে পারি একই গ্রামের আরেকটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুরের সময় লোকজন তাকে আটক করেছে। আমি সেখানে গিয়ে তাকে চিনতে পারি। তাকেই আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে দেখেছি।'
ওই গ্রামের উজ্জল মল্লিক জানান, তার কাকীমা সবিতা মল্লিকের চিৎকার শুনে তিনিসহ কয়েকজন এসে মন্দিরের ভেতরে প্রতিমা ভাংচুর করার সময় কামরুল ইসলাম সুজনকে হাতেনাতে আটক করেন।
বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অনুপ কুমার মন্ডল জানান, রোববার ভোর পৌনে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে একই এলাকার তিনটি মন্দিরে ঢুকে ভেতরে থাকা প্রতিমা ভাংচুর করেছে কামরুল ইসলাম সুজন। এসময় আশেপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতিমা ভাংচুরের কথা স্বীকার করেছে।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি পুলিশ সুপারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আটক কামরুল ইসলাম সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কামরুল ইসলাম সুজন স্বরূপকাঠি উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের প্রয়াত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
samakal.com
0 Comments