চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সভাপতি ড. শিপক নাথ বলেছেন,প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমার তিনি গানের মাধ্যমে সে সময় বলেছিলেন, “পৃথিবী বদলে গেছে, যা দেখি নতুন লাগে”। তাঁর সেদিনের এই গান বর্তমান বাস্তব জীবনের এক অন্যতম অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রয়েছে পৃথিবী, রয়েছে মানুষের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু পাল্টে গেছে বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর মানুষের জীবন সংস্কৃতি।
তিনি বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন, ক্যালেন্ডারে পৌষ মাস পড়লেই গ্রামবাংলার মায়েরা এই পৌষ পার্বণকে উপলক্ষ্য করে মেতে উঠতেন প্রস্তুতিতে।গোলা ভরা চাল দিয়ে পৌষসংক্রান্তির দিন বাড়ি বাড়ি তৈরি হত পিঠেপুলি। নারকেল ও নতুন চালের গুঁড়োর সংমিশ্রণে তৈরি হত নানাধরনের পিঠে। একসময় যা ছিল পৌষ পার্বণের এক অন্যতম অঙ্গ। কিন্তু, বর্তমান সময়ে ব্যস্ত মানুষের কাছে এসব ঠাঁই পেয়েছে ইতিহাসের পাতায়। তাঁরা এখন এসব সংস্কৃতি ভুলে মেতেছে, পিৎজা, বিরিয়ানীতে। তবে বর্তমানে কিছু কিছু জায়গায় এই পিঠেপুলির থাকলেও তার মধ্যে মিশেছে ব্যাবসার ছোঁয়া। বাড়িতে তৈরি না করেই পিঠে মিষ্টি দোকানে তৈরি হয়ে ফুড ডেলিভারি সংস্থার মাধ্যমে একেবারে পেঁৗছে যাচ্ছে বাড়ির সদর দরজায়। তবে এসবের মধ্যে কি আজ সত্যিই সেদিনের সংস্কৃতির কোনও মিল রয়েছে? সেই প্রশ্ন লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞদের মনে।গতকাল বৃহস্পতিবার হাটহাজারী মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাই স্কুলের পিঠা উৎসবে তিনি উদ্বোধক হিসেবে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম উদ্দীন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী সরকারী কলেজের প্রাক্তন
অধ্যক্ষ ফরিদ আহমদ, অধ্যক্ষ আলী আহমদ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা রণজিৎ কুমার নাথ, প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজন, শিক্ষক আতাউর রহমান মিয়া। স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে সৈয়দ মোহাম্মদ আলমগীর, তাপসী তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, শাহ আলম, আবুল কাশেম, এম. এ. সালাম অংশ গ্রহণ করেন। পরে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের আয়োজনকৃত বিভিন্ন ধনণের দেশীয় তৈরি পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
0 Comments