পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। হিন্দু, খ্রিস্টান মেয়েদের জোর পূর্বক অপহরণ, লাভ জিহাদের শিকার করার মতো খবর প্রায় প্রত্যেকদিন শিরোনামে থাকে। বহু মেয়েকে চীনে বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে আসে। সম্প্রতি করাচি থেকে এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে যেখানে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। করাচিতে, একটি ১৪ বছর বয়সী নাবালিকান খ্রিস্টান কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গেছিল। তবে এখনও অবধি সেই মেয়েকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেনি পাকিস্তানের প্রশাসন। খ্রিস্টান মেয়েটিকে অপহরণ করার পর তাকে জোর পূর্বক ইসলাম কবুল করানোর হয়েছিল। শুধু এই নয়, ধর্ম পরিবর্তন এর পর মেয়েটির বিয়ে এক মসুলিম ব্যাক্তির সাথে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের কাছে অনেক অভিযোগ আবদার করার পরেও মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপহরণকারী আসামি আবদুল জব্বারের সাথে নিকাহ করিয়ে দেওয়ার পর থেকে মেয়েটির কোনো খোঁজ মেলেনি। মেয়েটির মা এখন যা বলেছেন তা যে কোনো সহৃদয় মানুষকে দুঃখ দেবে। আসলে মেয়েটির নিয়ে আদালতেও মামলা চলছে। সেখানে মেয়েটির বয়স বাড়িয়ে ১৪ থেকে ১৮ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে এখনও মেয়েটির খোঁজ নেই। এ অবস্থায় মেয়েটির মা নাগিনা ইউনুস বলেছেন যে পাকিস্তানে গর্ভঅবস্থায় মেয়েদের মেরে ফেলা উচিত। সংখ্যা লগুদের মেয়ের পাকিস্তানে না আছে কোনো মান সন্মান না আছে কোনো সুরক্ষা। যার জন্য পাকিস্তানের এই মহিলা গর্ভ অবস্থায় থাকাকালীন মেয়ে মেরে ফেলার কথা বলেছেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ধিক্কার জানিয়ে এ কথা বলেছেন।
সূত্রঃ India Rag
0 Comments