চট্টগ্রাম মহাশ্মশানে নেই কোন উন্নয়ন, হাঁটু পানিতে হয় শেষ সৎকার


চট্টগ্রাম: নগরের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম শ্মশান বলুয়ারদীঘিপাড়স্থ অভয়মিত্র মহাশ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের। বৃষ্টি আর জোয়ারে হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে মহাশ্মশানটি।


স্থানীয়রা জানান, অনেক বছর ধরে এভাবে হাঁটু সমান পানিতে মরদেহ দাহ করতে হচ্ছে তাদের। মহাশ্মশানটি উন্নয়নে এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। মহাশ্মশানটি উন্নয়নের জন্য একটি কমিটি করা হলেও তাদের কার্যক্রম এখনও চোখে পড়েনি।

খাল-সংলগ্ন অভয়মিত্র মহাশ্মশানটি একটু নিচু হওয়ায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানি উঠছে।


বৃষ্টির সময় পানি আরও বেড়ে যাওয়ায় দাহ করার জন্য আনা মরদেহ রাখার জায়গা থাকে না। অনেক সময় জোয়ার-ভাটা দেখে মরদেহ দাফনের সময় নির্ধারণ করতে হয়।



২০১৪ সালের দিকে এম মনজুর আলম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালে দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের অভয়মিত্র মহাশ্মশানে যাতে জোয়ারের পানি না ঢুকে সে জন্য শ্মশান উঁচুকরণ, আশ্রয় শেড নির্মাণ, গ্যাস ও লাকড়ির চুল্লি উঁচুসহ এ শ্মশানের সংস্কারকাজ অবিলম্বে শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।

কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তার নির্দেশ বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি এলাকাবাসী। পরে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন মহাশ্মশানের চুল্লি ও জোয়ারের পানি-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

কমিটির প্রতিনিধিরা জানান, মহাশ্মশানটির অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য শিক্ষা-উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ১৫ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা করেন। এখনও কোনো ফান্ড না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেননি।

অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জহর লাল হাজারী বলেন, একটি সুন্দর পরিকল্পিত মহাশ্মশান করার জন্য ইতোমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের এমনভাবে মহাশ্মশানটি নির্মাণ করতে হবে যাতে পাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল মহাশ্মশান উন্নয়নের জন্য ১৫ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা করেছেন, আমরা এখনও ফান্ড পাইনি। কমিটির উদ্যোগে খুব শিগগিরই মহাশ্মশানটির উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করবো।

অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কৃষাণ চৌধুরী বলেন, মহাশ্মশানটি সিটি করপোরেশনের। আসলে সিটি করপোরেশন যদি উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমরা কিছু করতে পারছি না। আমরা এরপরও সম্প্রতি একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম মাটি ভরাট করার জন্য। কিন্তু করতে দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র ও দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, তারা শ্মশানটি উন্নয়ন করার জন্য আমার থেকে কাজটি কেড়ে নিয়ে গেলো। শ্মশান উন্নয়নের জন্য কমিটিও করলো, তারা নাকি কাজ করবে। আমাকে-তো কমিটির সদস্যও রাখেনি। বাধা দেওয়ার প্রশ্ন উঠে না।

নিউজ সূত্রঃ  বাংলানিউজ ২৪ 

Post a Comment

1 Comments

  1. হিন্দু ধর্মীয় পেইইজে মুসলিম সংস্কৃতি কেন?
    (চট্টগ্রাম মহাশ্মশানে নেই কোন উন্নয়ন, হাঁটু পানিতে হয় শেষ সৎকার)
    বাক্যটিতে পানি ব্যবহার মোটেও শোভা পায়নি।

    ReplyDelete