শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে


শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ কর্তৃক অত্র বিদ্যালয়ের সদ্য বিদ্যালয় ছেড়ে কালিগঞ্জ কাঠুুনিয়া রাজবাড়ি কলেজ পড়ুয়া এক হিন্দু কন্যা সমতুল্য ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 নূরনগর দক্ষিন হাজীপুর গ্রামের মৃত মোঃ আলী হাসানের ছোট পুত্র শামীম আহমেদ (৪৫) কিছুদিন আগে নিজ বিদ্যালয় থেকে সবেমাত্র কলেজে উঠা নূরনগর গ্রামের সন্যাসী অধিকারীর কন্যা তনুশ্রী অধিকারী (১৬) কে সবার অলক্ষে নিয়ে পালিয়ে যায়। তনুশ্রীর পরিবারের সদস্যরা লোকলজ্জার ভয়ে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে এ ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলাব্যাপী চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাধিক ছাত্রী বিবাহের হোতা শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকজন ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার পরে একটি বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে বিয়ের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকায় রফাদফা করা হয়েছিল।



 স্থানীয়রা জানায়, অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শিক্ষক শামীম আহমেদ এর বড় ভাই। যিনি এলাকার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ এর ছত্র-ছায়ায় এমন একটা সম্মানীয় আসনে বসে সেটার অপব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন অভিভাবক মহল। পূর্বের সব ঘটনা ধামাচাপার পরে আবারও অপ্রাপ্ত বয়সের ছাত্রী বিয়ের কান্ডে আলোচনায় আসে শামীম। তবে এবার সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত অভিভাবক মহল।


 এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মান্তরিত ও বিবাহের এ্যাফিডেভিটের কপি ও ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাইরাল হয়েছে। সেখানে এ্যাফিডেভিটের কপিতে দেখা যায় তনুশ্রী অধিকারীর পূর্বের নামের পরিবর্তে ধর্মান্তরিত করে নাফিসা খাতুন এবং ১৬ বছর বয়সের পরিবর্তে ১৮ বছর করা হয়েছে। এলাকাবাসি বলছে, একজন ছাত্রী-শিক্ষকের সম্পর্ক তো বাবা আর মেয়ের মতোই হওয়া উচিৎ। এমন একটা নারীলোভী মানুষ কি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে? শামীম প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকেই এ ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট এমনটা নয়, তার আগে থেকেই স্কুলের মেয়েদের সাথে তার বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র বিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী জানায়।

 সে আরও জানায়, বিদ্যালয়ে তার কন্যা সমতুল্য বয়সন্ধিকাল চলমান ছাত্রীদের বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে নারীলোভী শিক্ষক শামীম তাদের সরলতাকে পুঁজি করে একের পর এক অনৈতিক কাজ করেই চলেছে। সচেতন মহল বলছে, ‘‘কাক যতই ময়ূরের পুচ্ছ লাগাক না কেনো, কাক কখনো ময়ূর হয়ে যায় না’’- ঠিক তেমনি পবিত্র হজ্ব করেও এই নারীলোভী শামীমের চরিত্রের উন্নতি হয়নি এতটুকুও। অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতে তার এহেন কাজে স্যার বলতে বিবেকে বাধছে, কারণ একজন প্রকৃত শিক্ষকের চরিত্র এমনটা হতে পারে না। স্কুলকে রক্ষার জন্য চরিত্রহীন প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদের বহিষ্কারসহ উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান এলাকার সুধীজন।

 এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বার বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, শ্যামনগর থানায় মামলা হয়েছে। যার নং- ১৬ তারিখ-০৯/০৪/২০২১। আসামীকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।  নূরনগরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে

Post a Comment

0 Comments