মেয়েদের উত্ত্যক্ত প্রতিবাদ করায় হিন্দু বাড়িতে হামলা বৃদ্ধ,নারীসহ আহত ৮


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে একটি হিন্দু পরিবারে ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় একদল যুবক। এ সময় হাতে বৃদ্ধ, নারীসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টাকাটুকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ এখনো হামলাকারীদের কাউকে আটক করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার টাকাটুকিয়া গ্রামের বর্মণ পাড়ার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছে তাহিরপুরে স্যাটেলার খ্যাত টুকেরগাঁও গ্রামের কাশেম মিয়া, লাইট মিয়া, মুসা মিয়া, পাবেল মিয়াসহ এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত কয়েজন যুবক। এনিয়ে প্রায় চার মাস আগে সালিস অনুষ্ঠিত হয়। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না বলে সালিসে অঙ্গীকার করে তারা। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সালিসকারীরা অভিযুক্তদের কান ধরে ওঠ-বস করান। এ ঘটনার পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে বখাটেরা। তারা সংগঠিত হয়ে টাকাটুকিয়া গ্রামের বর্মণ পাড়ায় এসে মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল।

আজ বুধবার দুপুরে টাকাটুকিয়া গ্রামের দেবেন্দ্র বর্মণের ছেলে প্রতিবাদী সঞ্চিত বর্মনকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে ওই বখাটেরা। সঞ্চিতের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালায় তারা। এক পর্যায়ে বখাটেদের সঙ্গে টুকেরগাঁও গ্রামের ২০-২৫ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টাকাটুকিয়া গ্রামের দেবেন্দ্র বর্মণের বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় আহত হন দেবেন্দ্র বর্মন (৭০), তার ছেলে বাছিন্দ্র বর্মণ (৫০), সত্যেন্দ্র বর্মণ (৪৫), সঞ্চিত বর্মণ (৩০) বাছিন্দ্র বর্মণের স্ত্রী বিউটি বর্মণ (৪৫), ছেলে বাবলু বর্মণ (১৭), শিপলু বর্মণ (১৫) ও তাদের আত্মীয় দেবল বর্মণ (২২)। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন দেবেন্দ্র বর্মন, বাছিন্দ্র বর্মণ, বাবলু বর্মণ। তাদেরকে তাৎক্ষণিক তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, টাকাটুকিয়া গ্রামের বর্মণ পাড়ার মেয়েদেরকে পার্শ্ববর্তী টুকেরগাঁও গ্রামের কিছু বখাটে উত্যক্ত করত। এর জের ধরে আজ বর্মণ পাড়ার এক ছেলেকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করেছে টুকেরগাঁও গ্রামের ছেলেরা। তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও নাকি মারধর করেছে। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Post a Comment

0 Comments