রংপুরে হিন্দু মেয়েদের অপহরন করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে


রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মিপুর মাজেরহাট বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও জামায়াত নেতা আশরাফুজ্জামান জামান মুকুলের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উওঠেছে। 

এ ঘটনায় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার পরেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা উল্টো তার বিরুদ্ধে হিন্দু পরিবারকে প্রকাশ্যই প্রান নাশের হুমকি দেবার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রংপুর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতক অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকাবাসি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করেছে অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান মুকুল মাদ্রাসার শিক্ষক ও তারাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সদস্য এং ইকরচালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি।

ওই জামায়াত নেতা এর আগে এক হিন্দু মহিলাকে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে জোর পুর্ব্বক ধর্মন্তিরিত করে বিয়ে করে। অতি সম্প্রতি তার ছেলে রাশেদ সয়ার ইউনিয়নের হিন্দু দোলাপাড়া গ্রামের রজ্ঞিত কুমারের মেয়েকে জোর করে অপহরন করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। এ ঘটনায় ওই মেয়ের ভাই গোপাল রায় বাদী হয়ে তারাগজ্ঞ থানায় মামলা দায়ের করে। ওই জামায়াত নেতা আশরাফুজ্জামান মুকুল প্রকাশ্যই ফতোয়া প্রদান করে হিন্দু মেয়ে জোর কবরদস্তি হোক বা ফুসলিয়ে হোক ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করলে বেহেস্তে যাওয়া যাবে এসব কথা বলে এলাকায় হিন্দু মুসলমানদের মাঝে বিভাজন তৈরী করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

 ওই জামায়াত নেতা প্রকাশ্যই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নানান ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে সকল হিন্দু সম্প্রদায়েরে লোকজনকে ভিটে ছাড়া করবে বলে হুমকি প্রদান করছে। এছাড়াও জামাতের ওই নেতার নামে নামে ১৯৮২ সালে সংখ্যালগু পরিবারে বাড়িতে আগুন দেয়া , বাড়ি ঘর ভাঙচুর করার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এছাড়াও ওই জামাত নেতা হেফাজত কারাবন্দি হেফাজত নেতা মামুনুল হকের আন্দোলনে অংশ নেবার জন্য অনেকবার ঢাকায় গেছে।

এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু হরলাল রায় জানান, ওই জামাতী নেতা একের পর এক আমাদের হিন্দু পরিবারের উপর পরিকল্পিত ভাবে হয়রানি করে আসছে। তার এসব কর্মকান্ড দেখেও স্থানীয় প্রশাসন না দেখার ভান করে আসছেন। তারাগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ডা: আলী হোসেন জানান, জামাত নেতা আশরাফুজ্জামান মুকুল একাধিক সংখ্যালগু পরিবারের মেয়েদের বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে মুসলমান পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করেন। পরে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরধরে তারেই কথামত অজানার উদ্দেশে পারি দেয় তারা।

 এতে হিন্দু পরিবার সম্প্রদয়ের সুধিসমাজের লোকজনের কাছে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরকারের স্থানীয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না এটাও লক্ষ্য করছে সুধিসমাজ। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ও জামায়াত নেতা আশরাফুজ্জামান মুকুলের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন আমি জামাত করিনা আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য বলে নিজেকে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Post a Comment

0 Comments