বাল্যবন্ধু মীর হোসেন সওদাগরের জানাজার স্থানের পেছনে কাঠের গুঁড়িতে বসে কাঁদছেন সুধীর বাবু। ছবি: সংগৃহীত
বাল্যবন্ধু মীর হোসেন সওদাগরের জানাজার স্থানের পেছনে কাঠের গুঁড়িতে বসে কাঁদছিলেন সুধীর বাবু। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় জানাজায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে বন্ধুর জন্য তার অকৃত্রিম আবেগ হৃদয় ছুঁয়েছে সবার।
অকৃত্রিম বন্ধুত্ব ঘুঁচিয়ে দেয় সামাজিক সব ব্যবধান। বন্ধুত্ব অমলিন, এই সম্পর্কে নেই জাত-ধর্মের ভেদ। আবেগের সম্পর্কটি যে কতোটা গভীর হতে পারে তারই অনন্য এক উদাহরণ দেখা গেল কুমিল্লায়।
এক বন্ধুর বিদায়বেলায় আরেক বন্ধুর ক্রন্দনরত একটি ছবি বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ছবিটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৭০ বছরের সুধীর বাবুর। বাল্যবন্ধু মীর হোসেন সওদাগরের জানাজার স্থানের পেছনে কাঠের গুঁড়িতে বসে কাঁদছিলেন তিনি। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় জানাজায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে বন্ধুর জন্য তার অকৃত্রিম আবেগ হৃদয় ছুঁয়েছে সবার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গুণবতী বাজারের ব্যবসায়ী মীর হোসেন ও সুধীর বাল্যবন্ধু। দুই ধর্মের হলেও তাদের বন্ধুত্বে কোনো ছেদ পড়েনি। আবার একই বাজারের ব্যবসায়ী হওয়ায় তারা থাকতেনও কাছাকাছি।
তারা আরও জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় মীর হোসেনের। বুধবার সকালে বাড়ির কাছেই তার জানাজা হয়।
বন্ধুর জন্য তার ক্রন্দররত সেই ছবি ফেসবুকে দেন একজন। এরপরই সেটি ভাইরাল হয়। ছবিটি এখন যেন হয়ে উঠেছে বন্ধুত্বের প্রতীক।
বন্ধু বিদায়...
গুণবতী বাজার এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক ফখরুল হাসান জানান, মীর হোসেন সওদাগর মুদি ব্যবসা করতেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।
তিনি বলেন, বন্ধুত্ব তো এমনই হয়। মৃত্যু তাদের শারীরিকভাবে আলাদা করলেও মনের জায়গায় পারেনি।
0 Comments