ঐতিহাসিক জে.এম সেন হলে জন্মাষ্টমী পরিষদের উদ্যোগে রাস মহোৎসব শুরু হচ্ছে আজ




 শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ-কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস মহোৎসব সরকারের সকল দিক নিদের্শনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হচ্ছে। 
শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ,কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে  চারদিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সাধু ও বৈষ্ণবদের সংবর্ধনা (পদসেবা ও বরণ), রাষ্ট্রীয় অতিথিবর্গের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা, সম্পীতির সমাবেশ,ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লীলা প্রদর্শনী, ষোড়শ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। 
সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন জানান,ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানের সব আয়োজন চুড়ান্ত পর্যায়ে। 
পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস (মন্টু) জানান, এবারের রাস উৎসবের মাঙ্গলিক 
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানমালায় শতাধীক সাধু অংশ নেবেন।এছাড়াও সন্ধ্যায় দামোদর উৎসবে দুই হাজার ইসকন বাংলাদেশ এর ভক্ত অংশ নেবেন।
-------
রাস মূলতঃ শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। ভগবান কৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ তাত্ত্বিক রসের সমৃদ্ধ কথাবস্তুকে রাসযাত্রার মাধ্যমে জীবাত্মার থেকে পরমাত্মায়, দৈনন্দিন জীবনের সুখানুভূতিকে আধ্যাত্মিকতায় এবং কামপ্রবৃত্তিসমূহকে প্রেমাত্মক প্রকৃতিতে রূপ প্রদান করে অংকন করা হয়েছে।
 “রাসলীলা” শব্দটি এসেছে সংষ্কৃত হতে “রাস” থেকে। রাস শব্দটি মানে, অনুভূতি আর লীলা মানে দৈবিক কার্য্য , এখানে  বিশেষ প্রকারের নৃত্য এর কথা বলা হয়েছে। সুতরাং রাসলীলা বলতে একপ্রকার বিশেষ নৃত্য বুঝায়, যা শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীমতী রাধারানী গোপীবৃন্দ সহ করেছিলেন। যেখানে সম্পূর্ণ সাত্ত্বিক অনুভূতি, ভালোবাসা আর আনন্দ বিদ্যমান ছিলো। এককথায়, রাস হলো, দৈবিক নৃত্য।

“যখন করেন হরি বস্ত্ৰহরণ।
গোপীদের কাছে তিনি করিলেন পণ।।
আগামী পূর্ণিমাকালে তাঁহাদের সনে।
করবেন রাসলীলা পুণ্য বৃন্দাবনে।।”
জযতু রাস উৎসব 

Post a Comment

0 Comments