কলেজ অনুষ্ঠানে হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের ইচ্ছাকৃত গরুর মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ

উক্ত ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করা এক কলেজ ছাত্রীর ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরা হলো

 

অসাম্প্রদায়িক দেশে সাম্প্রদায়িকতার কালোছাপ

গত ৫ই নভেম্বর, পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আড়ম্বর  আয়োজন করা হয়। 


উক্ত অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল , শুধু জানা ছিল না দিনটি শেষ হবে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বিভীষিকার  মধ্যে দিয়ে।সকল শিক্ষার্থীদের খাসির কাচ্চির বদলে গরুর বিরিয়ানী খাওয়ানো হয়।কিন্তুু এই প্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ৩০-৩৫% শিক্ষার্থী অন্য ধর্মাবলম্বী।এটা আমরা না ভুললেও প্রতিষ্ঠানটির আয়োজক কমিটি ভুলে গিয়েছিল যে প্রতিষ্ঠানটি অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান।যার কারণে প্রতিষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা গরুর বিরিয়ানী কে খাসির কাচ্চি বলে খেয়েছিল।আমরা খাবার আগে  বারংবার জিজ্ঞাসা করলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না হয়েছে বলে আশ্বস্ত করে!


খাওয়া শুরুর কিছুক্ষণ এর মাঝে অনেকর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে আমরা বাবুর্চির কাছে গিয়ে জানতে পারি  সবার জন্য গরুর কাচ্চি বিরিয়ানী রান্না করা হয়েছে, কোন খাসি বা মুরগির অর্ডার দেয়া হয়নি!!!
এবং জিজ্ঞাসাবাদে সে নিশ্চিত করে যে, কলেজের চেয়ারম্যান  রকিবুল হোসেন রুমি স্যার এই অর্ডার ২৯ শে অক্টোবর দিয়েছেন এবং অর্ডার মোতাবেক চেয়ারম্যান এর বাসা থেকেই সে অগ্রীম অর্থ গ্রহণ করে।


 


গরুন বিরিয়ানী খাওয়ানো হয়েছে এই ঘটনা জানার পর আমরা মানসিক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হই এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি।আমাদের এমন অবস্থা দেখে আমাদের ভাই বোনরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে।এই পরিস্থিতে চেয়ারম্যান স্যার নিজের দায় স্বীকার করে নিজের ইচ্চায প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যহতি নেয়।


 


কিন্তু গত ৫.০১.২০২৩ তারিখে আমরা জানতে পারি চেয়ারম্যান তার পদে বহাল রয়েছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন শাহরিয়ার নবী স্যার গভর্নিং বডির সদস্যদের সাথে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেন।এবং মিটিং ডিন স্যার সিদ্ধান্ত দেন যে চেয়ারম্যান রকিবুল হোসেন রুমি তার পদে বহাল থাকবেন।কিন্তুু ডিন স্যার কোনো প্রকার তদন্তের ব্যবস্থা না করে সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন জানিয়ে এমন একটি সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন,যার আমাদের ধর্মবিশ্বাসকে আঘাত করে।
আমরা সংখ্যালঘু দেখে কি আমরা এই সাম্প্রদায়িকতার স্বীকার হলাম??? আর সংখ্যালঘু দেখে কি আামরা এই সাম্প্রদায়িকতার বিচার পাবোনা???

Post a Comment

0 Comments