
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় সংখ্যালঘু একই হিন্দু পরিবারের শিশু-নারীসহ ৯ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের মধ্য আশংকা জনক অবস্থায় লক্ষ্মী রানী (৪০) অঞ্জনা রানী (২৬)এবং খোকন চন্দ্র মাঝিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ঠাকুরের এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হামলা চালানো হয়।
হামলা শিকার আহতরা জানায়, রবিবার বিকেলে খিতিষ মাঝি প্রতিদিনের মত ঠাকুরের হাট রাস্তার উত্তর পাশের চা-পানের দোকানে বসে। এসময় জনৈক এক প্রভাবশালীর ইন্ধনে জহির সিকদার,তার স্ত্রী সুখি বেগম,কালাম প্যাদা, জহিরের ছেলে ইরাক প্যাদা,রুপচান প্যাদা,বায়েজিদ প্যাদাসহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি দল বেধেঁ, খিতিষের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর শুরু করে। এসময় দোকানে উপস্থিত থাকা খিতিষ মাঝি,ছেলে খোকন চন্দ্র মাঝি এবং স্ত্রী লক্ষ¥ী রানী তাদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ করে। হামলাকারীরা এসময় তাদেরকেও এলোপাথারী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হামলার খবর শুনে খোকনের স্ত্রী অঞ্জনা রানী তার কোলের দুই বছরের কন্যা সন্তানটিকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে হামলাকারীরা অঞ্জনা রানী ও তার শিশু পুত্রকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। দ্বিতীয় দফা হামলা খবর শুনে এগিয়ে আসে খিতিষের বাড়ীর লোক জয় চাঁদ মাঝি (৩৫), কনক বালা (৩৫)যতিন মাঝি (৭০),বৃদ্ধা শেফালী রানী (৯০) এবং শিশু কলি ঘটনাস্থলে আসে।
0 Comments