ফরিদপুরের দুই সন্তানের জননী কাজল রেখা বিশ্বাসকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা!



গণধর্ষণের পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় জুট মিলের শ্রমিক কাজল রেখাকে। ধর্ষণের পর তার যৌনাঙ্গে ছুরি দিয়ে আঘাত করেও রক্তাক্ত করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।কাজল রেখা নসিমনে করে মিলে যাওয়া আসা করতেন। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে নসিমন চালক চুন্নু সিকদার ঝড়ু জানান মিলে ডিউটি আছে। কাজল রেখা তার কথা মত বাসা থেকে বের হলে নসিমন চালক ঝড়ু নসিমনে উঠিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি কলা বাগানের পাশে নসিমনটি দাঁড় করিয়ে কাজল রেখাকে নামতে বলেন। এ সময় ঝড়ু ও তার সহযোগী নাজমুল, ইসলাম, আতিয়ার মোল্লা ও নয়ন জোড়পূর্বক কাজল রেখাকে কলাবাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে একপর্যায়ে তারা সকলে মিলে কাজল রেখার যৌনাঙ্গে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কাজল রেখাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে নসিমন চালক চুন্নু সিকদার ঝড়ুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।নসিমন চালক চুন্নু সিকদার ঝড়ুকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কাজল রেখাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং পুলিশের কাছে মূল ঘটনার বর্ণনা দেন। ঝড়ুর দেয়া তথ্যানুসারে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নাজমুল (৩২), ইসলাম (৩২) ও আতিয়ার মোল্লাকে (৪২) গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের সবার বাড়ি পশ্চিম আড়পাড়া এলাকায়। নাছির খান নয়ন (৪০) নামে আরেক আসামি পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রাজধরপুর এলাকায় অবস্থিত প্রাইড জুট মিলের নারী শ্রমিক কাজল রেখার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পশ্চিম আড়পাড়ার একটি কলা বাগান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি ।

Post a Comment

2 Comments

  1. সব কয়টা মানুষরূপী জানোয়ার গুলোকে ফাঁসিতে ঝুলানো উচিৎ।

    ReplyDelete