পুরুলিয়ার গৌতম ‘কোটিপতি পুরস্কারের বড়ো অংশই তুলে দিতে চান দু:স্থদের হাতে

Gautam Kumar Jha and Amitabh

ওয়েবডেস্ক: অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয় কুইজ শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র একাদশ মরশুমে চলছে। গত বুধবার রাতের পর্বে ওই শো স্বাগত জানিয়েছে তৃতীয় কোটিপতিটিকে। পুরুলিয়ার আদ্রায় ভারতীয় রেলওয়ের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার গৌতমকুমার ঝা ওই দিন কোটিপতি হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ওই বিশাল অঙ্কের আর্থিক পুরস্কারের একটা বড়ো অংশই তিনি দু:স্থপড়ুয়াদের হাতে তুলে দিতে চান বলে জানিয়েছেন।


ওই পর্বের প্রতিযোগিতায় ১৫তম প্রশ্ন হিসাবে অমিতাভ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমেরিকার কবি ফ্রান্সিস স্কট একটি ভারতীয় জাহাজে বসে ‘ডিফেন্স অব ফোর্ট এম হেনরি’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন। সেই কবিতাই পরে ওই দেশের জাতীয় সংগীত হয়ে যায়। জাহাজটির নাম কী”?

প্রশ্ন শোনার পর স্ক্রিনে ভেসে

ওঠা চারটি অপশনের মধ্যে থেকে গৌতম ‘এইচএমএস মিন্ডেন’-এর বোতামে আঙুল ছোঁয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এক কোটি টাকার মালিক হয়ে যান তিনি। প্রশ্নের উত্তরটা মোটেই সহজসাধ্য ছিল না। তা হলে কী ভাবে তিনি ওই প্রশ্নের উত্তর দিলেন?

বিগ-বির এহেন প্রশ্নের জবাবে গৌতম জানান, “আমি সব সময়ই সাধারণজ্ঞানের বই পড়ি। আমি বিশ্বাস করি কেউ যদি স্কুল-কলেজ জীবনে সিলেবাসের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করেন, তা হলে তিনি অনেক কিছুই সঞ্চয় করতে পারবেন। যা পরবর্তীতে তাঁকে সাহায্য করবে, এখন যে ভাবে আমাকে করল”।
গৌতমের এমন চিন্তাভাবনায় আকৃষ্ট হন অমিতাভ। তাঁর ভূয়সী প্রশংসাও করেন। এর পরই সাত কোটি টাকার জন্য প্রশ্ন আসে গৌতমের সামনে।

তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ডারবান, প্রিটোরিয়া এবং জোহানেসবার্গে মহাত্মা গান্ধীর সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত তিনটি ফুটবল ক্লাবের নাম কী ছিল”? বিকল্প উত্তরের অপশনগুলি ছিল – ট্রুথ সিকার্স, নন-ভায়োলেন্টস, প্যাসিভ রেজিস্টারস, নন-কো-অপারেটর্স।

দুর্ভাগ্যবশত, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা ছিল না গৌতমের। এমনকী তিনি শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে তিনি উত্তর দিতে চাননি। ফলত তিনি প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসেন।
তাই বলে এখানেই থেমে থাকতে চান না ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে ইন্ডিয়ান স্কুল অব মাইনস থেকে এমটেক করা গৌতম। এর পরই যোগ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। সেখান থেকে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে আদ্রার রেল ওয়াগন বিভাগে যোগ দেন।
টিভির কুইজ শোয়ে বছর তিরিশের গৌতমের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রেলশহর আদ্রা। গর্বিত তাঁর সংস্থা। আদ্রা ডিভিশনের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিজের সাফল্যের নেপথ্যে স্ত্রীর ইচ্ছা ও অনুপ্রেরণাকে অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেছেন, পুরস্কারের টাকার একটা বড়ো অংশই তিনি তুলে দেবেন দু:স্থপড়ুয়াদের সাহায্যার্থে।


Post a Comment

0 Comments