করোনা যোদ্ধা সেচ্ছাসেবকদের গল্প ( জুয়েল আইচ অর্ক )



আত্ত্বত্যাগী....
আমরা সৎকার সেবক আমরা করোনা যোদ্ধা....

কিছু কথা না বলে আর পাচ্ছিনা, যখন প্রথম করোনা মৃতদেহ সৎকার করা শুরু করি, মনে ছিল মরণের ভয়!
পিপিই যখন পরতাম তখন থেকেই শুরু হত অঝোরে ঘাম ঝরা, ঘামের কারনে অনেক সময় চোখে দেখতে পেতাম না,শরীরে অনেক জায়গায় গোটা ও উঠেছে কি যে যন্ত্রণা, তার মধ্যে মৃতদেহ স্নান করা থেকে শুরু করে সৎকার শেষ হওয়া পর্যন্ত পিপিই পরে কাজ করতে হয় । এদিকে ঘামে শরীর ও মূখ মন্ডল এমনভাবে ভিজে থাকতো যে অনেক সময় মাক্সের ঘামের কারণে নিজেরি নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হত! অনেক সময় সহ্য করতে না পেড়ে মুখ দিয়ে জড়ে জড়ে নিশ্বাস নিতাম! এভাবে চলতো পুরা সৎকার টাইম। কারন মনে করতাম প্রতিটি মৃতদেহ আমি বা আমাদের প্রিয়জন অনুভব করতাম স্বজন হারানোর বেদনা, সৎকার শেষ করে যখন পিপিই খুলতাম তখন মনেহত পৃথিবীতে নতুন করে নিশ্বাস নিচ্ছি!

বাসায় এসে ওয়াশ রুমে স্নান করতে যেতাম তখন আর ইউরিন বের হতোনা, শুধু জ্বলত! কারন ইউরিন তো আর থাকতো না, ঘামের চোটে সব বের হয়ে যেত!


এটা ছিল যখন খুব গরম তখনকার সৎকার কার্যক্রম সময়.শুধু তাই নয়,,আমরা আমাদের পরিবারের প্রিয়জনদের থেকে অনেক দূরে থেকেছি,,এখনি থাকি,,ছোট ছোট বেবিদের ইচ্ছে করে দূরে রাখি, কিন্তু মন মানে না কতো কষ্ট হয়,একমাত্র ঈশ্বর ভালো জানেন।


আমরা সেচ্ছাসেবকএত কিছু করছি, অনেকে করোনা পজেটিভ হয়েছি+ হচ্ছি, আবার অনেক সেচ্ছাসেবক প্রান ও হারিয়েছে !

কিন্তুু আজ আমাদের নামটাও অনেক যায়গায় থাকেনা এহকালে নয় পরকালে যদি ঈশ্বর আমাদের এই আত্ত্বত্যাগের মুল্য টা দেয় তাহলে আমাদের সব চাওয়া পুর্ন হবে

নামের জন্য নয় দেশটাকে সুস্থ করার জন্য আমাদের এই লড়াই, বিশ্বের সকল সেচ্ছাসেবক এর প্রতি কৃতজ্ঞতা 

 ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ! .... জুয়েল আইচ অর্ক

Post a Comment

0 Comments