খুলনা রুপসা উপজেলার ১০‌টি ম‌ন্দির ভাঙচুর ও ৫৭ টি হিন্দু প‌রিবা‌রের উপর হামলা দোকান-বাড়ী লুটপাট



সুমন মন্ডল: খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বেশ কিছু মন্দির ভাংচুর করেন স্থানীয় মৌলবাদী মুসল্লিরা। এসময় বেশ কিছু দোকন ও কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে তারা। শনিবার বিকেল পৌনে ০৬ টার দিকে প্রায় শতাধিক মুসল্লি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সারা গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।



স্থানীয় লোকজন যানান শুক্রবার রাত ০৯টার দিকে মন্দির থেকে কয়েকজন ভক্ত কীর্তন করতে করতে শিয়ালী শ্মশানের দিকে যাচ্ছিলেন। কিত্তনরত ভক্তরা মসজিদের কাছাকাছি আসলে মসজিদের ইমাম কীর্তন করতে নিষেধ করলে তখন কিছুটা তর্কাতর্কি হয়। বিষয়টি নিয়ে শনিবার থানায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। গ্রামবাসীরা জানান, শনিবার বিকেল ০৬টার দিকে শতাধিক মুসলিম যুবক রামদা, চাপাতী সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামে হামলা চালায়। হামলাকারীরা গ্রামের বাজারের বেশ কিছু হিন্দুদের দোকান ভাংচুর করেন এবং কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এ সময় শিবপদ ধরের বাড়ির গোবিন্দ মন্দির, পূর্বপাড়া হরি মন্দির, শিয়ালী পূর্বপাড়া দূর্গা ও হরি মন্দির, মহাশ্মাশানের বেশ কিছু মন্দির ভাংচুর করেন হামলাকারীরা। এলাকার লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের উপরে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

রূপসা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু বলেন, গ্রামবাসি এক হয়ে হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে শিয়ালী ক্যাম্পের পুলিশ গ্রামবাসীকে আটকে দেয়। ঘাটভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধন অধিকারী বলেন এই গ্রামের পাশের গ্রাম চাঁদপুর, গতকাল দুপুরে ঐ গ্রামের মুসুল্লিরা এসে হামলা, ভাংচুরে ও লুটপাটে অংশ নেয়। তিনি আরো জানান ইতি মধ্য ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতা সহ সকলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


খুলনা পুলিশ সুপার মাহাবুব হাসান STV বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা গুরুত্ব সহকারে স্থানীয় লোকজন নিয়ে কাজ করছি।








Post a Comment

0 Comments