নীলফামারী হিন্দুর বাড়িতে মুসলমানের গরু জবাই,থমথমে অবস্থা এলাকাজুড়ে




হিন্দুর সম্প্রদায়ের বাড়িতে মুসলমানের গরু জবাই করায় নুর ইসলাম নামের একজন ব্যাক্তিকে আটক করেছে এলাকা বাসী।ঘটনাটি ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বালা পাড়ায়

শুক্রবার(২০জানুয়ারি)সকাল ৯ টার সময় গৌরাঙ্গর বাড়িতে নুর ইসলাম একটি গরু পালনের জন্য গৌরাঙ্গর কাছে রাখে। গরু অসুস্থ হওয়ার কারণে পঞ্চমী গলার দরি কাটানোর জন্য ছুরি দেন নুর ইসলাম কে।নুর ইসলাম দরি কেটে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে গৌরাঙ্গর বাড়ির সামনে অসুস্থ গরুটি জবাই করেন।সেই জবাই করাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হয়ে নুর ইসলাম কে আটক করে ৯৯৯ লাইনে ফোন করেন। সরকারী সেবা ৯৯৯ লাইনের সৈয়দপুর থানার জরুরী সেবার একটি পুলিশের টিম হাজির হয়ে পুলিশি হেফাজতে নেয় নুর ইসলাম কে।

 

এলাকাবাসীর পক্ষে,ধিরেন,পুলিন,গোপাল তারা সকলে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গৌরাঙ্গের বাড়িতে আসা যাওয়া করে নুর ইসলাম। একজন মুসলিম হয়ে রাতে বেরাতে একজন হিন্দুর বাড়িতে আসা যাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ইতি পূর্বে বাধাদিলে উল্টো এলাকাবাসী কে হুমকি দেন নুর ইসলাম।আমরা নুর ইসলামের সঠিক বিচারের জোর দাবি করছি।

 হিন্দুর বাড়িতে গরু জবাই করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।এবিষয়ে গৌরাঙ্গ ও তার স্ত্রীর সাথে কথা হলে তারা বলেন,আমরা নুর ইসলামের গরু আদি হিসেবে পালন করি।গরুটি অসুস্থ হওয়ায় নুর ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করলে সে দ্রুত বাসায় আসে। হিন্দুদের রেওয়াত অনুযায়ী গরুর মৃত্যুর আগে গলার দরি কাটানো হয়,তাই ছুরি দেই।সে দরি কেটে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে না জানিয়ে বাসার সামনে জবাই করে।

সেই জবাই করাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে আটক করে নুর ইসলামকে। কথা হয় খিতিষ চন্দ্র রায় সহ-সভাপতি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখা,তিনি বলেন এ ধরনের কর্মকান্ড মেনে নেওয়ার মতো না, তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারের দাবি করেছেন।আরোও কথা হয়,রঞ্জন কুমার সরকার সভাপতি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সৈয়দপুর পৌর শাখা,তিনিও সঠিক বিচারের দাবি করেছেন।

খাতামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পাইলট তিনি বলেন,ঘটনা স্হান থেকে ফোন করলে আমি দ্রুত গিয়ে দেখি এলাকায় জনসাধারণ উত্তেজানা বিরাজ করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে এলাকার জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে আসামীকে সৈয়দপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে ঘটনা স্হানে গিয়ে দেখা যায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি তাই আসামীকে সৈয়দপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে,বাদীপক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছে।মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Post a Comment

0 Comments